জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক গ্রন্থাগারের সদস্যপদ

সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, অর্থনীতিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আগ্রহী পাঠক, শিক্ষার্থী, গবেষক বা শিক্ষক জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক গ্রন্থাগারের সদস্য হতে পারবেন। সদস্যপদ গ্রহণের জন্য কোনো ফি প্রদান করতে হবে না। শুধু সদস্যরাই গ্রন্থাগার ব্যবহার করতে পারবেন।

সদস্যদের জন্য নির্দেশিকা

গ্রন্থাগারের সদস্য হতে হলে নিম্নোক্ত কাগজ গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিন –
১.  জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপি
২.  দুই কপি ছবি (একটি পাসপোর্ট এবং একটি স্ট্যাম্প সাইজ)
৩. আগ্রহের বিষয় –
– প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় নিয়েজিত হলে প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা, গবেষণার বিষয়বস্তু, সময়কাল ও উদ্দেশ্য উল্লেখ করতে হবে।
অথবা   – শিক্ষকতায় নিয়োজিত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও পদবি উল্লেখ করতে হবে।
অথবা   – সাধারণ পাঠক হলে রেফারেন্স হিসেবে একজন শিক্ষকের নাম ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে।  

জমা দেওয়ার মাধ্যম :
গ্রন্থাগারে এসে মেম্বারশিপ ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে পারেন
অথবা https://forms.gle/v68n3H5Zr2Pq4VcB6 গুগল ফরম পূরণ করতে পারেন
অথবা membership@abdur-razzaq-foundation.org ঠিকানায় সফট কপি (pdf format) ইমেইল করতে পারেন।

সকল কাগজ জমা দেওয়ার পর যদি গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের এ-বিষয়ে কোনো বক্তব্য থাকে তাহলে ৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে আপনাকে তা জানানো হবে। সব তথ্য সন্তোষজনক হলে ৫ (পাঁচ) কর্মদিবসের মধ্যে আপনাকে গ্রন্থাগারের সদস্যপদ দেওয়া হবে। সদস্য-পরিচয়পত্র গ্রন্থাগারে এসে সংগ্রহ করতে হবে (ডাকে পাঠানোর ব্যবস্থা নেই)। পূর্বের সদস্যের সদস্যপদ নবায়নের সময় উপরোক্ত তথ্য প্রয়োজন হতে পারে। সদস্য-পরিচয়পত্র সংগ্রহের সময় এক কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি (হার্ড কপি) সঙ্গে আনতে হবে।

গ্রন্থাগারের ভেতরে অবস্থানের নিয়ম
১. গ্রন্থাগার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে খোলা থাকবে।
২. শুক্র-শনিবার ও সরকারী ছুটির দিনে গ্রন্থাগার বন্ধ থাকবে।
৩. দৈনিক ১০ জন সদস্য একসঙ্গে গ্রন্থাগারে পড়ার ঘরে অবস্থান করতে পারবেন।
৪. সদস্যরা আগে-এলে-আগে-পাবেন ভিত্তিতে আসন গ্রহণ করবেন। আসন সংরক্ষণ করা যাবে না।
৫. একনাগাড়ে ৩০ মিনিটের বেশি সময় আসন ত্যাগ করলে সেখানে অন্য কেউ আসন গ্রহণ করতে পারেন। গ্রন্থাগারে অনুপস্থিত থাকার সময় টেবিলে বা আসনে রেখে যাওয়া কোনো জিনিসপত্রের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
৬. গ্রন্থাগারে ব্যাগ বা ব্যাকপ্যাক নিয়ে ঢোকা যাবে না। তবে মহিলারা ছোট হাত ব্যাগ বা পার্স এবং ছেলেরা ওয়ালেট নিয়ে ঢুকতে পারবেন। গবেষণা কাজের জন্য খাতা, পেন্সিল, কলম, ল্যাপটপ এবং মোবাইল, চাবি ইত্যাদি নিয়ে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করা যাবে।
৭. গ্রন্থাগারে খাবার নিয়ে ঢোকা যাবে না। খাবার গ্রহণের কোনো ব্যবস্থা গ্রন্থাগারে নেই। সদস্যরা পানির বোতল সঙ্গে রাখতে পারবেন।
৮. গ্রন্থাগারে অবস্থানকালে নিজের ব্যক্তিগত খাতা, পেন্সিল, কলম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন সাবধানে রাখতে হবে। এ-সকল জিনিস খোয়া গেলে তার জন্য গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
৯. গ্রন্থাগারের কর্মকর্তার কাছ থেকে বই ইস্যু করে পড়তে হবে। মূল গ্রন্থাগার কক্ষে সদস্যরা প্রবেশ করতে পারবেন না। পড়া শেষে বই কর্মকর্তার কাছে ফেরত দিতে হবে।
১০. বই যত্নসহকারে ব্যবহার করতে হবে।
১১. গ্রন্থাগারের বই বাইরে নেওয়া যাবে না এবং বাইরের কোনো বই গ্রন্থাগারে আনা যাবে না।
১২. গ্রন্থাগারে ওয়াইফাই এর কোনো ব্যবস্থা নেই।
১৩. বইয়ে লেখালেখি বা দাগ দেওয়া, আন্ডারলাইন বা মার্কার ব্যবহার, পাতা ভাঁজ করা, ছেঁড়া বা মোড়ানো যাবে না।
১৪. গ্রন্থাগারের কর্মকর্তাকে না জানিয়ে বই বা জার্নালের ছবি তোলা যাবে না।
১৫. বইয়ের নির্দিষ্ট পৃষ্ঠা ফটোকপি বা ডিজিটাল কপির প্রয়োজন হলে গ্রন্থাগার কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। শর্তসাপেক্ষে (প্রতি পৃষ্ঠা দুই টাকা, সর্বোচ্চ ২০ পৃষ্ঠা) ফটোকপি সরবরাহ করা হবে। ডিজিটাল কপি নেওয়ার জন্য কোনো টাকা দিতে হবে না।
১৬. শুধুমাত্র ইমেইল ডিজিটাল কপি সরবরাহ করা হবে, পেনড্রাইভ বা হার্ডডিস্কে দেওয়া যাবে না।
১৭. গ্রন্থাগারে অবস্থানকালে নীরবতা বজায় রাখতে হবে। উঁচু স্বরে কথা বলা, অনবরত ফোনে আলাপ করা, গল্প করা পরিহার করতে হবে।
১৮. গ্রন্থাগারে অবস্থানকালে মোবাইল ফোন সাইলেন্ট রাখতে হবে। ফোনে বা ল্যাপটপে মুভি দেখা, গেম খেলা, অনবরত চ্যাট করা, সশব্দে মন্তব্য করা, গল্প বা হাসাহাসি করা- অন্য সদস্যদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এ-সকল আচরণ পরিহার করতে হবে।
১৯. গ্রন্থাগারে অবস্থানকালে বই পড়ার অনুকূল পরিবেশ ব্যাহত হয়, এমন কোনো কাজ বারবার করলে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ সদস্যপদ বাতিল করতে পারবে। এ-বিষয়ে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

 বেঙ্গল শিল্পালয় ভবনে প্রবেশের নিয়ম
১. ভবনে প্রবেশের সময় নিরাপত্তাকর্মী বা গ্রন্থাগারে প্রবেশের সময় গ্রন্থাগার কর্মকর্তার কাছে আপনার সদস্য-পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।
২. ভবনের নিচতলায় নিরাপত্তাকর্মীর কাছে ব্যাগ জমা রাখতে হবে। ব্যাগের ভেতর দামি জিনিস রাখা যাবে না। কোনো তরল পদার্থ বা খাবার রাখা যাবে না। জমা রাখা ব্যাগ থেকে যদি কিছু হারিয়ে যায়, তার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। 
৩. আপনার যদি সদস্য-পরিচয়পত্র না থাকে তাহলে ভবনে প্রবেশের সময় নিচতলায় নিরাপত্তাকর্মীর কাছে রেজিস্টার খাতায় এন্ট্রি করে একটি ভিজিটর কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। বেরিয়ে যাওয়ার সময় ভিজিটর কার্ডটি ফেরত দিতে হবে। 
৪. ভবনের ভেতরে গ্রন্থাগার-সদস্যদের জন্য কোনো পার্কিং নেই। সাইকেল বা মোটরসাইকেল ভবনের ভেতরে রাখা যাবে না। ভবনের মূল ফটকের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না। গাড়ি বা মোটরসাইকেল আশেপাশে নিজ দায়িত্বে পার্ক করতে হবে। এর জন্য আব্দুর রাজ্জাক গ্রন্থাগার বা বেঙ্গল শিল্পালয় কর্তৃপক্ষের কেউ দায়িত্ব নেবে না। 
৫. গ্রন্থাগার ব্যতীত বেঙ্গল শিল্পালয় ভবনের অন্য কোনো তলায় হাঁটাহাঁটি, আড্ডা বা গল্পগুজব করা যাবে না।
৬. বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন প্রোগ্রামের খবর নির্দিষ্ট ফেইসবুকে পেইজ, ওয়েবসাইটে বা ভবনের নিচতলায় প্রচার ব্যানারে দেখুন।
এ-বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ অবগত নাও থাকতে পারেন।